মাংস-লতার কৃষ্ণকলি
মাংস-লতার কৃষ্ণকলি
Tk. 425Tk.500You Save TK. 75 (15%)
Reward points :8
Condition :New
Availability : In Stock( Only 1 copies Left )
Cover : Hardcover
Indo Bangla Book
Latest Products
Details
সৈকত মুখোপাধ্যায়ের লেখা নতুন ডার্ক ফ্যান্টাসি গল্প সংকলন ‘মাংস-লতার কৃষ্ণকলি’। অন্যান্য ডার্ক ফ্যান্টাসি গল্পের মতই দারুন দারুন সাতটা গল্পের সংকলন এই বইটি। প্রত্যেকটাই যেমন শিহরণ তুলবে, তেমনই পাঠককে ভাবতে বাধ্য করবে যে এটা ঠিক কি হল। এই বইটিতে যে সাতটি গল্প আছে সেগুলি হল -- 🍁 উল্কাপাতের মাঠ - অরিত্র আজ সুইসাইড করবে। অনেক ঘুমের ওষুধ নিয়ে সে এসেছে পাইন বনে। প্রকৃতির মাঝে নিজেকে সমর্পন করবে সে। কিন্তু কেন সে সুইসাইড করতে চাইছে ? সুইসাইড করার মুহূর্তেই একজন লোক তাকে বলে যে সে তাকে এমন জায়গায় নিয়ে যাবে যেখানে কোন কোলাহল নেই, পুরোপুরি শান্ত। কোন জায়গার কথা বলছে সে ? এরপরে অরিত্র লোকটার সাথে গিয়েছিল উল্কাপাতের মাঠে। সেখানে গিয়ে কি অভিজ্ঞতা লাভ করল অরিত্র ? মারাত্মক একটা গল্প। পড়ার পরে মনে হল এটা ঠিক কি ঘটল ! 🍁 ফেরিওলা - সমুর বাবা তিন বছর ধরে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী। তারা বস্তিতে থাকে। এক ফেরিওলা প্রায়ই তাদের রাস্তা দিয়ে যায়। বাড়ি বাড়ি পুরোনো জিনিসপত্র সে টাকার বিনিময়ে কিনে নেয়। লকডাউনের বাজারে সমুদের অর্থকষ্ট চলছে। সেই ফেরিওলার কাছে পুরোনো জিনিস বিক্রি করেই এখন সে কিছু হলেও টাকা আনছে। কিন্তু আস্তে আস্তে সমু তাদের খাটের তলা থেকে এমন এমন জিনিস খুঁজে পাচ্ছে যেগুলো হয়ত বহুদিন আগেই নষ্ট হয়ে গেছে বা হারিয়ে গেছে। কিভাবে সম্ভব এটা ? সমুর বাবা এত অসুস্থ, বিছানার সাথে একেবারে লেগে গেছেন। কিন্তু কিছুতেই মরছেন না। তার এই না মরার কারণটা অদ্ভুত। কি ছিল সেই কারণ ? উফফ এই গল্পের শেষটা মারাত্মক। 🍁 ব্যাঙ কাটার ক্লাস - সালটা ১৯৮০। শ্রীধরপুরের সরোজিনী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী কেয়া। তাদের বায়োলোজি ল্যাবের অ্যাসিস্ট্যান্ট হলেন গৌরহরি বাবু। কিন্তু তার শরীর খারাপ থাকায় মাঝে মাঝে তার হয়ে সাহায্য করে তার ছেলে পেখম। পেখম কেয়াকে খুব পছন্দ করে। কিন্তু কেয়ার পেখমকে ভালোই লাগে না। তার থেকে কেয়া দূরত্ব রেখেই চলে। কিন্তু কেন ? এরপর একদিন কেয়া বাড়ি ফেরার পথে তার সাথে ঘটে এক বাজে ঘটনা। কি ছিল সেটা ? একদিন ব্যাঙ কাটার ক্লাসে একটা ব্যাঙ কাটতে গিয়ে ব্যাঙের পেটের ভেতরে একটা অদ্ভুত জিনিস খুঁজে পায় কেয়া। কি ছিল সেটা ? ব্যাঙটার পেটে জিনিসটা গেলই বা কিভাবে ? এই গল্পের ভাবনাটাও একদমই অন্যরকম। অদ্ভুত। 🍁 ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন - এক বাড়িতে টুম্পা আর তার ছেলে কানু থাকে। টুম্পা সাত মাসের গর্ভবতী। তড়িৎ বাবু মাঝে মাঝে এসে তাদের দেখে যান। তড়িৎ বাবু কে হন টুম্পার ? কিন্তু হঠাৎ করেই একদিন টুম্পার বাড়ির ওয়াশরুমের জানলার কাচ ভেঙে যায়, বাগানে এক কুকুরছানার থ্যাতলানো মৃতদেহ পাওয়া যায় আবার বাড়ির দেয়ালে এক অদ্ভুত লেখা দেখা যায় - ‘মরুক মরুক মরুক মরুক মরুক’। কিন্তু কেন ? কানু জানায় সে একটা হাতকে দেখতে পেয়েছে এসব করতে, কিন্তু কোনও শরীরকে সে দেখেনি। মানে কি এই কথার ? আবার একদিন রাতে টুম্পা যখন ঘুমোচ্ছে, তখন জ্বলে ওঠে সারা বাড়ি। কিন্তু কিভাবে ? এই গল্পটিও বেশ ভালো লেগেছে আমার। চমক টা দারুন লেগেছে শেষে। 🍁 বেদিয়াটোলির বিদেহী - বিহার আর উত্তরপ্রদেশের মাঝামাঝি আন্ধয়াল এর বেদিয়াটোলিতে ব্যাংকের চাকরি পেয়ে এসেছে সুমন আর মানিক। যে জায়গায় ওরা থাকে, তার সাথে জুড়ে আছে এক ইতিহাস। কোন ইতিহাস ছিল সেটা ? একদিন মানিক তার ঘরের জানলা দিয়ে দেখতে পায় কাশবনের মাঝে একটা লতা পাতার ছাউনি দেওয়া এক ঘর আর তার বাইরে একটা প্রাণী। এক কালবৈশাখীর রাতে বিদ্যুতের আলোয় তারা সেই ঘরের বাইরে দেখতে পায় এক ভয়ঙ্কর দর্শন কিশোরীকে। কারা তারা ? তাদের কাজের মাসির মুখ থেকে তারা ভয়ঙ্কর কিছু তথ্য জানতে পারে। কি তথ্য ছিল সেগুলি ? এই গল্পটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। শেষটাও বেশ ভালো ছিল। 🍁 ওরা জোকারের শিকার - একটা মফসসল শহর সাতশিমুলী। কিন্তু সেই শহরে হঠাৎ করেই অ্যাডোলেসেন্ট ছেলেমেয়েদের অস্বাভাবিক মৃত্যু হতে লাগল। শুধু বয়সন্ধির ছেলেমেয়েরা। কিন্তু কেন ? এক সময় এই শহরে গণিকালয়ের পাঁচটা মেয়েকে অজ্ঞান করে দু একজন লোক নাকি রক্ত চুরি করে পালিয়েছিল। কেন ? আজ আবার এই টিন-এজারদের মৃত্যু। তারা সকলেই নাকি মারা যাওয়ার আগে অদ্ভুত একটা সুর আর তার সাথে একটা গান শোনার যন্ত্রের কথা বলে গেছিল। কি সম্পর্ক এসবের তাদের মৃত্যুর সাথে ? এইসব কিছুর সঙ্গেই জড়িয়ে থাকে এক ভিখারি। কি রহস্য লুকিয়ে আছে এসবের মধ্যে ? এই গল্পটার শেষটা বড্ড ভয়ানক। শেষটা আমায় বেশ কিছুবার পড়তে হয়েছে। 🍁 মাংস-লতার কৃষ্ণকলি - এই গল্পের নামেই নামাঙ্কিত বইটা। একটা ভিন গ্রহ মার্কারিড, যার আকাশে আছে দুটো সূর্য। পৃথিবী থেকে সোমক এসেছে গ্যালাকটিক ট্রেড অর্গানাইজেশনের ইনভেস্টিগেটর হিসেবে মার্কারিডে এক ইনভেস্টিগেশনে। মার্কারিডে দুই লেবার এবং সোমকের দুই কলিগ হঠাৎ করে বেপাত্তা হয়ে যায়। এক সৌরমার রাতে তারা নিজেদের ঘরে জামাকাপড় সবকিছু ফেলে বিবস্ত্র হয়ে কোথাও চলে যায়। কিন্তু কেন ? এই সৌরমাই বা কি ? এখন সোমক আর অনঘ দুজনেই একইভাবে এক সৌরমার রাতে কোন এক অমোঘ টানে বিবস্ত্র অবস্থায় বেরিয়ে পরে। কিন্তু কোথায় গিয়েছিল তারা ? শেষে কি তারা ফিরে এল ? আর এইসব কিছুর মধ্যে জড়িয়ে আছে এক বিষ লতা। কিন্তু কিভাবে ? এটিই এই বইয়ের সবচেয়ে বড় গল্প এবং আমার সবথেকে দারুন লেগেছে এই গল্পটিই। লেখকের কল্পনাশক্তিকে কুর্নিশ জানাই। লেখা কৃতজ্ঞতা - Avishek Avi Dutta
Title :মাংস-লতার কৃষ্ণকলি
Author :Saikat Mukhopadhyay || সৈকত মুখোপাধ্যায়
Publisher :Deep Prakashan || দীপ প্রকাশন
Language : Bangla
hardcover : 175 pages
Condition : New
Book Printed Origin : India
Readling Level : Teen and Young adult