Free Delivery on all orders over 1990

রুদ্ধশ্বাস

Tk. 425Tk.500You Save TK. 75 (15%)

Book Length

lengh

216

Edition

edittion

1st Published

ISBN

isbn

0000000000

নানান দেশের জানা অজানা পঁচিশটি সত্যিকারের খুনের ঘটনা নিয়ে সাজানো এই ব‌‌ইটি ইতিহাস হোক, গল্পের বইয়ের পাতা, অথবা নানা ক্রাইম ফিকশন সিনেমা — ঠাণ্ডা মাথা...

Reward points :10

Condition :New

Availability : In Stock( Only 2 copies Left )

Cover : Paperback

1

Latest Products

Delivery
Inside Dhaka metro: 1 to 3 days
Outside Dhaka ( courier): 2 to 5 days
Cash On Delivery available only in Dhaka metro

Details

নানান দেশের জানা অজানা পঁচিশটি সত্যিকারের খুনের ঘটনা নিয়ে সাজানো এই ব‌‌ইটি ইতিহাস হোক, গল্পের বইয়ের পাতা, অথবা নানা ক্রাইম ফিকশন সিনেমা — ঠাণ্ডা মাথার বেপরোয়া খুনী আমরা ভুরি ভুরি পেয়ে যাই। প্রত্যেকেই কোনো না কোনো উদ্দেশ্যসাধনের জন্য তাদের পরিচিত বা অর্ধপরিচিতকে খুন করেছে। আবার, যদি শিকার খুনীর অপরিচিতও হয়, তাও তাকে খুন করার পেছনে একটাই কারণ — শিকারের মৃত্যুতে খুনী লাভবান হবে। কিন্তু পাঠক কি এরকম কোনো খুনীর কথা শুনেছেন যার শিকার তার কাছে সম্পূর্ণ অপরিচিত এবং শিকারের মৃত্যুতে খুনী কোনো দিক থেকে লাভবান হবে না? আপনারা ভাবতে পারেন যে এরকম তো কেবল গল্পকথায় উন্মাদ পাগলে করতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি পুরোপুরি নির্ভুল নন। ইতিহাসেও এরকম ঘটনার উল্লেখ রয়েছে এবং সম্ভবত একটিই রয়েছে, যে এই কীর্তি ঘটিয়েছিল, তার নাম টমাস এলাওয়ে। এখন যে গল্পটা বলব, তার বিজ্ঞাপন করতে বসলে সেকালের পাল্প থ্রিলারের বিজ্ঞাপনের মতো বলা যায়: ‘পাতায় পাতায় শিহরণ, ছত্রে ছত্রে লোমহর্ষন’। যদি টমাস একটা ছোট্ট ভুল না করত, তাহলে তাবড় তাবড় গোয়েন্দাদের ওকে ধরতে যাওয়ার প্রয়াস একেবারেই বৃথা হয়ে যেত। যাই হোক, গল্প শুরু করা যাক। ১৯২১ সালের ২২ ডিসেম্বর। ‘মর্নিং পোস্ট’ কাগজে মিস আইরিন উইলকিন্সের দেওয়া একটা বিজ্ঞাপন বেরোল। স্ট্রিথাম-নিবাসী এই ভদ্রমহিলা রান্না করার কাজ চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। তাঁর ইচ্ছে ছিল মূলতঃ কোনো স্কুলের হয়ে রান্না করার জন্য। এর আগে সে অভিজ্ঞতাও ছিল তাঁর। অবশ্য অন্য জায়গা থেকে রান্নার কাজের প্রস্তাব এলেও তিনি তৈরি ছিলেন কাজের জন্য। সামনেই বড়দিন। এই সময়টা লোকজন কিছুটা ছুটির মেজাজে থাকে। তাই, মিস উইলকিন্স খুব ভালোই জানতেন যে এই সময়ে বিজ্ঞাপন দিলে তার উত্তর আসবে চটজলদি। কাজেই বোর্নমথ থেকে টেলিগ্রামটা আসতে বিশেষ অবাক হলেন না তিনি। টেলিগ্রামে বলা ছিল তিনি যেন বিকেল সাড়ে চারটের ট্রেন ধরে বোর্নমথে এসে হাজির হন, স্টেশনে তাঁর জন্য গাড়ি রাখা থাকবে। সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ বোর্নমথে হাজির হতে দেখলেন উর্দিপরিহিত এক ড্রাইভার তাঁর অপেক্ষায় দণ্ডায়মান। ফ্র্যাঙ্ক হামফ্রিস নামে এক ভদ্রলোক ওই একই ট্রেনে বোর্নমথে এসেছিলেন। হঠাৎই ওই ড্রাইভার আর ভদ্রমহিলার দিকে তাঁর চোখ চলে গিয়েছিল একটা ঘটনাসূত্রে। কিন্তু উনি বিষয়টা নিয়ে আর মাথা ঘামাননি। মিস আইরিন উইলকিন্স পরেরদিন সকালে যখন কাগজে ওই মহিলার মৃতদেহের ছবি দেখা গেল, তখন ভদ্রলোক নড়েচড়ে বসলেন। ছবিটা দেখে একজন সাধারণ মানুষও বুঝতে পারবে যে ভদ্রমহিলাকে খুন করা হয়েছে। কাগজে বলা হয়েছিল যে বোর্নমথ রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রায় তিন মাইল দূরে টাকটনের সিফিল্ড রোডে লাশ পাওয়া গেছে মহিলার। চার্লস নিকলেন বলে এক ভদ্রলোক লাশ আবিষ্কার করেছেন। সময় নষ্ট না করে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতেই পুলিশও ওঁর বয়ান লিখে নিল ত্বরিত গতিতে। তদন্তে যা বেরোল, তা দেখে তদন্তকারী অফিসাররা থ। মিস উইলকিন্সের কোনো শত্রু ছিল না, এমনকি সেদিন ওঁর সঙ্গে এমন কিছুই ছিল না, যার জন্য ওঁকে খুন হতে হবে। মিস উইলকিন্সকে টেলিগ্রাম করে বোর্নমথে কে ডেকে পাঠাল — এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার প্রয়োজনই বোধ করল না পুলিশ। কে-ই বা এত ঝামেলা পোহায় একজন সম্পূর্ণ অপরিচিত মানুষকে খুন করার জন্য! কিন্তু এই প্রশ্নটাই বারবার উঠে আসছিল। ছ’মাসের মধ্যে তার কোনো ঠিকঠাক উত্তর এল না। যখন এরকম একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তখন বোর্নমথের পুলিশ সুপার গ্যারেট তদন্ত নিজের হাতে তুলে নিলেন। যদিও উনি খুব ভালোই জানতেন যে খুনি আর মৃতা পরস্পরের অপরিচিতা হওয়ায় ব্যাপারটা ঠিক কতটা কঠিন হয়ে গেছে। না পাওয়া গেছে মৃতার কোনো শত্রুর উল্লেখ, না পাওয়া গেছে সেই মানুষটাকে, যে তাকে এখানে ডেকে পাঠিয়েছিল। এই দুটো উত্তরের মধ্যে যে কোনো একটা পেয়ে গেলেই তদন্তটা খুব সহজ হয়ে যেত পুলিশের কাছে। তখন ইন্সপেক্টর গ্যারেটের হাতে শুধু সূত্র বলতে ওই ট্রেনের ভদ্রলোকের জবানবন্দি আর অল্প কিছু সাক্ষীর থেকে পাওয়া সামান্য তথ্য। অ্যালবার্ট স্যামওয়েস নামে এক খবরের কাগজ বিক্রেতা বলে যে ২১ বা ২২ ডিসেম্বর এক ড্রাইভার তার থেকে খবরের কাগজ কিনেছিল। আবার, বোর্নমথ স্টেশনের সিগন্যালম্যান হেনরি ন্যাশ জানায় যে ২২ ডিসেম্বর তাকে একটা লোক এসে জিজ্ঞাসা করছিল যে ওয়াটার্লুর ট্রেনটা কোন প্ল্যাটফর্মে আসে? এই জবানবন্দীগুলো থেকে এটা পরিষ্কার যে মহিলার সঙ্গে দেখা হয়েছিল এক উর্দি পরা ড্রাইভারের। ওই ড্রাইভারই খুনী কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ থাকলেও গ্যারেট একটা একটা বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে গেছিলেন যে সেই ড্রাইভার একটা বিশেষ উর্দি পরেছিল। কিন্তু প্রশ্ন হল যে ওই ড্রাইভারটি কে? বোর্নমথে প্রচুর বিত্তশালী লোকজন রয়েছেন যাঁরা গাড়ি চালানোর জন্য ড্রাইভার রাখেন। সে জন্যই খুনীর পক্ষে ড্রাইভারের ছদ্মবেশ নেওয়াটা খুব সহজ। কিন্তু তদন্ত করতে নেমে গ্যারেট বুঝলেন যে ড্রাইভারের ছদ্মবেশ কেউ নেয়নি। কাজেই চিরুনি তল্লাশী শুরু হল সারা বোর্নমথে। টমাস কী ছোট্ট ভুল করেছিল, যার জন্য তার খোঁজ পাওয়া গেল? সবকিছুর উত্তর আছে খোয়াই পাবলিশিং হাউস থেকে প্রকাশিত দীপ্তজিৎ মিশ্র র "রুদ্ধশ্বাস" ব‌ইটিতে।

Title :রুদ্ধশ্বাস

Author :দীপ্তজিৎ মিশ্র

Publisher :khoai || খোয়াই পাবলিশিং হাউস

Language : Bangla

paperback : 216 pages

Condition : New

Book Printed Origin : India

Readling Level : Teen and Young adult

Related Products

Loading

Loading