নাগচম্পা
নাগচম্পা
Tk. 425Tk.500You Save TK. 75 (15%)
Reward points :10
Condition :New
Availability : In Stock( Only 1 copies Left )
Cover : Hardcover
Indo Bangla Book
Latest Products
Tags
Details
ক্তিজীবনে নারায়ণ সান্যাল সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। ‘নাগচম্পা’ উপন্যাসে তিনি তাঁর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জ্ঞান খুব কাজে লাগিয়েছেন! সচরাচর গোয়েন্দা কাহিনী কোন একটি নির্দিষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক সরলরেখায়ই চলতে থাকে। এদিক দিয়ে এই উপন্যাসটি একটু ব্যতিক্রম। এখানে একাধিক ঘটনা সমান্তরাল ভাবে চলে শেষে একটি বিন্দুতে গিয়ে মিলিত হয়ে রহস্য ঘনীভূত করেছে। উপন্যাসটিকে মোটামুটি দুটি অংশে ভাগ করা যায়, যদিও এমন কোন বিভাজন বইতে মোটেই নেই। প্রথমাংশে আছে দেশের প্রয়োজনের তুলনায় অধিক গ্র্যাজুয়েট ইঞ্জিনিয়ারদের হতাশার গল্প। স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর নতুন দেশকে গড়ে তোলার জন্য ভারতের রাজনীতিবিদরা পাঁচ বছর মেয়াদী দীর্ঘকালীন প্ল্যান করেন। এই মাস্টারপ্ল্যানের অন্যতম একটি ভিত্তি হল প্রচুর ইঞ্জিনিয়ার উৎপাদন, যাঁরা কল-কারখানা, প্রযুক্তি প্রভৃতি দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। যে সময়ে এই বইটি লেখা, সেই ১৯৬৯ সালের বাস্তবতা কিন্তু অন্যরকম। ভারত সরকার ঘোষণা করে তাঁদের হিসেবের চেয়ে দেশে এখন পাশ করা ইঞ্জিয়ারের সংখ্যা প্রচুর, যাদের চাকরীর সংকুলান তাঁরা করে উঠতে পারবেননা সামনের কিছু বছরের মাঝে। দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া কৌশিক মিত্র আর তার সহপাঠীরা প্রচণ্ড মন্দার অর্থনীতিতে খাবি খায় রীতিমত। এই সম্ভাব্য ইঞ্জিনিয়ারদের কেউ এখন বাটার দোকানে জুতোর সেলসম্যান, কেউ ডাকাতির দায়ে জেলে বন্দী আর কেউ মাটি কাটার শ্রমিক! কৌশিক মিত্র ট্যাক্সি ড্রাইভার। অস্থির এই সময়ের গল্পে নারায়ণ সান্যাল প্রায়ই নিজে উপস্থিত থেকে উত্তম পুরুষে বলেছেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা। শুনিয়ে দিয়েছেন যে কোন একটা চাকরীর জন্য প্রকৌশল বিদ্যার মেধাবী এই ছাত্রদের হাহাকার আর ভোট জেতার তরে দুর্নীতিবাজ কোটিপতি ব্যবসায়ীর সাথে রাজনীতিবিদের একাট্টা হবার ‘ডিল’ শেষে তাদের ওয়াইনের গ্লাসের ঠোকাঠুকির আওয়াজ। খুব নিষ্ঠুর শোনায় সেই গল্প। উপন্যাসের দ্বিতীয় অংশ প্রায় পুরোটাই ‘কোর্টরুম ড্রামা’! এখানে নায়ক একজনই। তিনি ১৫ বছর আগে অবসর নেয়া ৭৮ বছর বয়েসী প্রবীণ আইনজীবী প্রসন্নকুমার বাসু ওরফে পি কে বাসু, এ গল্পের রহস্য ভেদকারী। ক্ষুরধার বুদ্ধির অধিকারী পি কে বাসু তো আসলে গোয়েন্দাই!অদ্ভুত তাঁর পর্যবেক্ষণ আর যুক্তির প্রয়োগ। গোয়েন্দা বললেই বোধহয় আমাদের মন খুব তরুণ কারো কথা ভেবে নেয়। পি কে বাসু এদিকে এক প্রচণ্ড ব্যতিক্রম। আটাত্তর বছরের বৃদ্ধের মস্তিষ্ক কিন্তু নিখুঁত হিসেব কষতে আর সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণে কোনক্রমেই পিছিয়ে নেই! আদালতে পি কে বাসুর কার্যকলাপের বর্ণনা হলিউডের কোর্টরুম ড্রামা ঘরানার অনেক ছবির কথা মনে করিয়ে দেয়! চরিত্রটির আবির্ভাবই আসলে বেশ সিনেম্যাটিক। এমন অসংখ্য ছবি আমরা কখনো না কখনো দেখেছি, যেখানে নায়ক (কিংবা নায়িকা) এমন একটি চরিত্র, যার ওপর ঠিক ভরসা করা যায়না, কিন্তু কাহিনীর শেষে ঠিকই বুঝিয়ে দেয় কেন সে-ই কেন্দ্রীয় চরিত্র। পি কে বাসু চরিত্রটিও অনেকটা এমন। যে আইনজীবী ১৫ বছর আগে শেষ মামলা লড়েছেন, তাঁর ওপর আর কি ভরসা করা যেতে পারে? এমন চরিত্র ক’টা আছেন যারা গোটা বইয়ের কলেবরের অর্ধেকে এসে আবির্ভূত হন আর শেষে অন্য সবাইকেই ছাপিয়ে যান? সংশয়বাদী পাঠক হয়তো পি কে বাসু কে 'অতিনায়ক' ভেবে বসতে পারেন, নিশ্চিত থাকুন, তিনি একেবারেই তা নন! রিভিউ - Muhammad
Title :নাগচম্পা
Author :নারায়ণ সান্যাল
Publisher :Deys || দেজ
Language : Bangla
hardcover : 208 pages
Condition : New
Book Printed Origin : India
Readling Level : Teen and Young adult