খাই কিন্তু জানি কি
খাই কিন্তু জানি কি
Tk. 305Tk.360You Save TK. 55 (15%)
Reward points :10
Condition :New
Availability : Out Of Stock
Cover : Hardcover
Indo Bangla Book
Latest Products
Categories
Details
আমরা রোজ যা খাই, ভাত, ডাল, শুক্তো, চচ্চড়ি থেকে শুরু করে দই মিষ্টি এসব খাবারের সৃষ্টি হল কীভাবে? ঊনবিংশ শতাব্দর শেষ আর বিংশ শতাব্দর গোড়ায় কলকাতায় ফুচকার আগমন, ক’জনই-বা তা জানেন? বাঙালির অতি প্রিয় শিঙাড়ার আগমন কচুরির মতোই কাশীধাম থেকে, তাই-বা কে খেয়াল রাখেন। রসরাজ অমৃতলাল বসুর লেখা ‘বৌমা’ নাটকের গানে লেখক শিঙাড়ার উল্লেখ দেখান। ‘তপত কচুরি ঘিয়েতে ভাজে/ পুরত সিঙাড়া আলুয়া সাজে/ করব গরম তেয়াগি লাজে/ শাশুড়ি লেয়াওলেয়াও লো’। গোটা বইটিতেই খাদ্যভাবনা, খাদ্যইতিহাস নিয়ে প্রচুর গবেষণালব্ধ তথ্য আছে। তবে তথ্যের ভারে তা নীরস হয়ে ওঠেনি মোটেই। যে-কোনও বাঙালি বাড়িতে রোববারের জলখাবার মানেই সাদা ধবধবে নরম, গরম ফুলকো লুচি আর কালোজিরে ছেটানো আলুর সাদা তরকারি। লেখক লিখছেন, ‘লুচি হবে পূর্ণিমার চাঁদের মতো গোল ধবধবে সাদা আর নিখুঁত। লুচিতে দাগ থাকা আর চরিত্রে দাগ সেকালে একইরকম দোষের মানা হত।’ তথ্যের সঙ্গে এমন নানারকম সরস মন্তব্য মিলেমিশে থাকায় সুখপাঠ্য হয়ে উঠেছে এই বই। লেখকের পুঙ্খনাপুঙ্খ বর্ণনাও এই বইয়ের বিশেষ গুণ। লুচি বেলার পদ্ধতি আলোচনার পাশাপাশি তার ব্যাস যে তিন-চার ইঞ্চির বেশি হবে না, তাও জানিয়ে দিতে ভোলেন না তিনি। তাঁর গবেষণা থেকে জানতে পারি মুর্শিদাবাদের কোনও কোনও অঞ্চলের লুচি হত পদ্মপাতার মতো বড়। মুর্শিদাবাদ ছাড়াও বাংলাদেশের কান্তনগরের লুচিও বেশ বড়মাপের হত। কান্তনগর দিনাজপুর থেকে বারো মাইল দূরে। দিনাজপুরের রাজবাড়িতে কান্তজির ভোগ হিসেবে প্রতিদিন ‘বগি’ থালার মতো বড় লুচি তৈরি হত। সেই লুচির বিশেষত্ব ছিল, লুচি না ভাঙলে ফোলা অবস্থায় থেকে যেত। মাটির সরা বা পাতলা বাঁশের পাতার খাঁচায় করে ওই লুচি এপার বাংলাতেও এসেছে। আমাদের প্রতিদিনের চেনা খাবার সম্পর্কে এমন হাজারো তথ্যে আমাদের সমৃদ্ধ করেছেন লেখক।
Title :খাই কিন্তু জানি কি
Author :দেবাশিস মুখোপাধ্যায়
Publisher :PatraLekha || পত্রলেখা
Language : Bangla
hardcover : 136 pages
Condition : New
Book Printed Origin : india
Readling Level : Teen and Young adult